উইমেন সাপোর্ট এন্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের মাধ্যমে সহিংসতার শিকার নারী ও শিশুদের সুরক্ষা ও সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে অনেক অর্জন থাকার পরেও সামগ্রিকভাবে সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। নিম্নোক্ত চ্যালেঞ্জসমূহ একা পুলিশের পক্ষে মোকবেলা করা সম্ভব নয়। ডাক্তার, বিচারক, সমাজকর্মী, নীতি নির্ধারক সকলের সমন্বয়ে ভিকটিমদের মানসম্মত সেবা প্রদান ও পুনর্বাসন করা সম্ভব হবেঃ
চ্যালেঞ্জসমূহ:
-
ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়টি মেট্রোপলিটন বিধিমালার অন্তর্ভূক্ত না হওয়া।
-
অপরাধ ও নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুদের সাথে কাজের ক্ষেত্রে নারী পুলিশের সংখ্যা স্বল্পতা রয়েছে(৪.২৪%)।
-
দেশে প্রচলিত আইনসমূহে কোন কোন বিষয় সম্পর্কে সুস্পষ্টভাবে আইনী সহায়তা প্রদান করার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা।
-
প্রতিবন্ধী নারী ও শিশুদের ভাষা না বোঝা বা সমস্যা সনাক্ত করা সম্ভব না হওয়ায় বিচার প্রক্রিয়ায় অংশ- গ্রহণে সহায়তা করার অপ্রতুলতা।
-
সহিংসতার শিকার নারী ও শিশুরা আইনগত প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রীতার কারণে সব সময় নিরাপত্তাহীনতা ও বিষন্নতায় ভোগে। ফলে শারিরীক ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্থ হয় ও কর্ম ক্ষমতা হ্রাস পায় । তাই পুনর্বাসন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন কঠিন হয়ে পড়ে ।
-
সারা দেশে মানসিক চিকিৎসা ব্যবস্থা অপ্রতুল ও ব্যয়বহুল। ফলে সহিংসতার শিকার নারী ও শিশুদের একটি বড় অংশ চিকিৎসা সেবা হতে বঞ্চিত হওয়া ।
-
অনেক ছোটো শিশু তাদের নাম, ঠিকানা সঠিক বলতে না পারার দরুন তাদের পরিবার সনাক্তকরণ ।